top of page
Logo Robo Kanti PNG copy.png

ROBOTICS  KANTI 

ROBOTICS INFORMATION TECHNOLOGY

  • X
  • Facebook
  • Youtube
  • Instagram

রেজিস্ট্যান্স এবং রেজিস্ট্যার

         রেজিস্ট্যান্স বা রােধ কথাটার অর্থ হচ্ছে কোন কাজে বাধার সষ্টি করা । ইলেকট্রিসিটির ক্ষেত্রে রােধের অর্থ হচ্ছে তড়িৎ - প্রবাহকে বাধা দেওয়া অর্থাৎ ইলেকট্রনের প্রবাহের পথে বাধার সৃষ্টি করা । সুতরাং , পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন বা আয়ন চলাচলে যে বাধা পায় তাকেই বলা হয় ঐ পরিবাহীর বােধ । সমস্ত পদার্থেরই কিছু না কিছু রােধ আছে । এমন কি তামার মত সপরিবাহীরও কিছু রােধ আছে । তবে আসল ব্যাপারটা হচ্ছে - পরিবাহীর রােধ কম , আর অপরিবাহীর রােধ বেশি ।

 

         আমরা জানি যে , ইলেকট্রিসিটিটা হচ্ছে আসলে পজিটিভ ও নেগেটিভ আয়ন এবং ইলেকট্রিক কারেন্টটা হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট দিকে ইলেকট্রনের প্রবাহ । আবার বিভিন্ন পদার্থের ফ্রি - ইলেকট্রনের সংখ্যা হচ্ছে বিভিন্ন । সুতরাং যদি একই পরিমাণ ভােল্টেজ প্রয়ােগ করা হয় , তাহলে বিভিন্ন পদার্থের ক্ষেত্রে কারেন্ট প্রবাহের পরিমাণটাও হবে বিভিন্ন । যে পদার্থের মধ্য দিয়ে যত বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হবে সেই পদার্থের রােধও তত কম হবে । আর যে পদার্থের মধ্য দিয়ে যত কম কারেন্ট প্রবাহিত হবে সেই পদার্থের রােধটা তত বেশি হবে । অতএব রেজিস্ট্যান্স বললে আমরা বুঝব যে , ইলেকট্রিক কারেন্টের প্রবাহ পথে পরিবাহী সর্বমােট যতটা বাধার ( total opposition ) সৃষ্টি করে তাই ।

 

        ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে ইলেকট্রনের প্রবাহকে বাধা দেওয়ার কাজে যে বন্ত্রাংশকে ( device ) ব্যবহার করা হয় তাকেই বলা হয় রেজিস্টার ( resistor ) বা রােধক । তবে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে , টেকনিসিয়ানরা রেজিস্ট্যার কথাটির বদলে রেজিস্ট্যান্স কথাটিই বেশি ব্যবহার করে — এই কথাটা যেন শিক্ষার্থীরা সব সময় খেয়াল রাখে । তবে আমরা বইতে বােঝার সুবিধার জন্য রেজিস্টার বা রােধক এবং রেজিস্ট্যান্স বা রােধ কথা দুটো পৃথক পৃথক ক্ষেত্রে ব্যবহার করব ।

 

* কি কি বিষয়ের উপর রােধ নির্ভরশীল ( Laws of Resistance )

         কোন পরিবাহীর রােধ কতটা হবে , সেটা কয়েকটা বিষয়ের উপর নির্ভর করে । একেই বলা হয় রােধের সূত্র বা ‘ ল অফ , রেজিস্ট্যান্স ।

( a ) পদাথের ( Material ) উপর - বিভিন্ন পদার্থের রােধ বিভিন্ন । অথাৎ পদার্থের বিভিন্নতার জন্য রােধেরও পরিবর্তন হয় ।

( b ) দৈর্ঘের ( Length ) উপর কোন পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বেড়ে গেলে তার রােধটাও বেড়ে যায় । অর্থাৎ দৈঘ্য | বেশি হলে কারেন্টের প্রবাহ কমে যায় ।

( c ) প্রস্থচ্ছেরের ( Cross - section ) উপর — কোন পরিবাহীর প্রস্থ বেড়ে গেলে , অর্থাৎ বেশি মােটা হলে তার রােধ কমে যায় । সতরাং প্রস্থ বেশি হলে কারেন্টের প্রবাহ বেড়ে যায় । এই কারণে মােটা তারের রােধ কম এবং সর , | তারের রােধ বেশি ।

( b ) তাপমাত্রার ( Temperature ) উপর কোন পরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার রােধও বাড়তে থাকে । পরিবাহীর তাপমাত্রা যত বাড়তে থাকে তার মধ্যস্থিত মক্ত ইলেকট্রনের গতিবেগও তত বাড়তে থাকে । ইলেকট্রনের এই অত্যন্ত দ্রুতগতির জন্য তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘাতের ( collision ) পরিমাণও বাড়তে থাকে । আর সংঘাত যত বাড়তে থাকে রােধও তত বাড়তে থাকে ।

        আবার , এর ব্যতিক্রমও আছে । কার্বন এবং আরও কিছু পদার্থের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে , তাপমাত্রা বাড়লে তাদের রােধ কমে যায় ।

        উপরের আলােচনা থেকে আমরা জানলাম যে , কোন নির্দিষ্ট পদার্থের নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যে রোধ হয় , সেটা তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের উপর নির্ভরশীল ।

        উপরের ( b ) ও ( c ) - কে অঙ্কের আকারে সাজালে আমরা পাই -

 

                             R = p 1/A  [ যখন 1 ও A উভয়েই পরিবর্তনশীল ]

     

       এখন 1 হচ্ছে দৈর্ঘ্য , A হচ্ছে প্রস্থচ্ছেদ এবং p হচ্ছে ধ্রুবক অর্থাৎ স্থির ।   p - কে আপেক্ষিক রােধ বা রােধাঙ্ক { specific resistance or resistivity ) বলা হয় । ইহা পরিবাহীর উপাদানের উপর নির্ভরশীল ।

        যদি 1 = 1 cm . এবং A = 1 Sq . cm . হয় , তবে p = R হবে । অর্থাৎ কোন উপাদানের রােধাঙ্ক বলতে ঐ উপাদানের একক ঘনকের রােধ বুঝায় । এখানে 1 cm . লম্বা , 1 cm . চওড়া এবং 1 cm উচ্চতা বিশিষ্ট একটা ঘনককে এক সেন্টিমিটার ঘনক বলা হবে , যার আয়তন 1 c . c . ।

        অতএব , নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ( 68°F ) একক দৈর্ঘ্য ও একক ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন পদার্থের রােধকেই ঐ পদার্থের আপেক্ষিক রােধ ( Specific resistance ) বলে । রােধাঙ্কের ব্যবহারিক একক হচ্ছে ওহম - সেন্টিমিটার ( ohm - cm ) ।

 

                           অতএব , রােধাঙ্ক ( p ) = RA/1 ওহম - সে . মি . ।

 

* রােধের উপর তাপের প্রভাব ।

         উপরে আমরা রােধের উপর তাপের প্রভাব নিয়ে সামান্য একটু আলােচনা করেছি , এখানে আর একটু বিস্তারিতভাবে আলােচনা করব ।

            ( i ) তাপমাত্রা বাড়লে বিশুদ্ধ ধাতুর ক্ষেত্রে তার রােধও বাড়ে ।

           ( ii ) সংকর ধাতুর ( alloy ) ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বাড়লে সামান্য পরিমাণে রােধ বাড়ে । ইলেকট্রিকের কাজে যে সমস্ত সংকর ধাতু ব্যবহৃত হয় , সমস্ত প্রকার তাপমাত্রাতে তাদের রােধ প্রায় একই থাকে ।

          ( iii ) ইলেকট্রোলাইট বা ইনসলেটার , যথা — কাগজ , রবার , মাইকা ও বেকেলাইট ইত্যাদির ক্ষেত্রে এবং কার্বনের মত আংশিক পরিবাহীর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বাড়লে তাদের রােধ কমে যায় ।

 

* রােধের একক 

         রােধের ব্যবহারিক একক হচ্ছে ‘ ওহম ( ohm ) । এম . কে . এস . পদ্ধতিতে রােধের একক হচ্ছে ওহম । ওহম - এর সাংকেতিক চিহ্ন হচ্ছে ‘ Ω ' ।  কোন পরিবাহীর দপ্রান্তে এক ভােন্ট বিভব - বৈষম্য ( potential difference ) সষ্টি করলে যদি তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ - প্রবাহের মাত্রা এক এ্যামপিয়ার হয় , তাহলে ঐ পরিবাহীর রােধকে এক ওহম , বলা হবে । একে আর একটু সহজ করে বললে দাঁড়ায় কোন পরিবাহীতে ভােল্টেজ এক ভােন্ট প্রয়ােগ করলে , তাতে প্রবাহিত কারেন্টের মাত্রাকে এক এ্যামপিয়ারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য যে পরিমাণ রােধের প্রয়ােজন তাকেই বলা হয় এক ওহম । এইটাই রােধের একক ।

 

                          সতরাং , 1 ওহম  = 1 ভােল্ট  / 1 এ্যামপিয়ার

                          অতএব , এখান থেকে আমরা পাচ্ছি , E = IxR

            এখানে , E হচ্ছে ভােল্টে ভােল্টেজ , I হচ্ছে এ্যামপিয়ারে কারেন্ট এবং R হচ্ছে ওহম - এ রােধ ।

                          আবার যেহেতু , 1 এ্যামপিয়ার = 3x 10° e . s . u .

                          এবং 1 ভােল্ট = 1 / 300 e . s . u .

                      অতএব , 1 ওহম =  1 ভােল্ট  / 1 এ্যামপিয়ার  = 1 . 2 . : 3x10° e . s u . ®1 এ্যামপিয়ার® 300 - = 1 : 1x10 - 12 e , s . u .

 

• রেজিস্ট্যারের ( রােখকের একক )

        রেজিস্টার বা রােধকের পরিমাপের হারকে ( rating )  2রকমভাবে প্রকাশ করা হয় । রােধকের ইলেকট্রিক্যাল ভ্যালর একক হচ্ছে ‘ ওহ ( যা রােধেরও একক ) । আর রােধকের পাওয়ারের একক হচ্ছে ‘ ওয়াট । রেজিস্ট্যারকে সার্কিটে সংক্ষেপে চিহ্নিত করার জন্য ‘ R ’ অক্ষর ব্যবহার করা হয় ।

        ব্যবহারিক কাজে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে যে রােধক ব্যবহৃত হয় তার ভ্যালু হচ্ছে 1 ওহম থেকে কয়েক লক্ষ ওহম পর্যন্ত । তাই বেশি পরিমাণের ওহমকে ব্যবহারের সুবিধার জন্য ‘ কিলাে ওহম এবং ‘ মেগা ওহম হিসাবে প্রকাশ কর হয় । যথা - -

                         

                          10 - ওহম = 1 মাইক্রো ওহম ।

                          001 ওহম = 1 মিলি ওহম ,

                          1000 ওহম = 1 কিলাে ওহম বা সংক্ষেপে 1K

                          10° ওহম = 1000K = 1 মেগা ওহম বা সংক্ষেপে 1M

 

        রােধকের দ্বিতীয় একক হচ্ছে ওয়াট । এর দ্বারা রােধকের ক্ষমতা ( power ) স্থির করা হয় । এই ক্ষমতার দ্বারা বােঝা যায় রেজিস্ট্যারটা পড়ে না গিয়ে কতটা পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে পারে । রেজিষ্টার যদি আকারে বড় হয় তাহলে তার তাপ সহ্য করার ক্ষমতাও বেশি হবে এবং সেইসঙ্গে তার ওয়াটেজটাও বেড়ে যাবে । তবে রেজিস্ট্যারের ভ্যালর ওপর কিন্তু ওয়াটেজের কোন প্রভাব ( effect ) নেই । এই প্রভাবের ব্যাপারটা একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে । একটা 1K ওমস , 1 ওয়াটের রেজিস্ট্যারের বদলে , 1K ওমস 2 ওয়াটের একটা রেজিস্ট্যার ব্যবহার করা চলে । কাজের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না । 2 ওয়াটের রেজিস্ট্যারটা কেবলমাত্র আকারে বড় , কিন্তু কারেন্ট প্রবাহের পথে 1 ওয়াটের । রেজিস্ট্যার যে পরিমাণ বাধা সৃষ্টি করবে , 2 ওয়াটের রেজিস্ট্যারও ঠিক সেই একই পরিমাণ বাধা সৃষ্টি করবে । আবার , এখানে একই ভ্যালুর ( 1K ) কিন্তু কম ওয়াটেজের ( ধরা যাক ওয়াট ) রেজিস্ট্যারও ব্যবহার করা চলে । তবে সেক্ষেত্রে রেজিস্টারের পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে । ওয়াটের জন্য সংক্ষেপে ‘ w ’ অক্ষর লেখা হয় ।

       অতএব সার্কিটের কোথাও যে ওয়াটের রেজিস্টার ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া থাকবে , সেখানে ঠিক সেটা ওয়াটের রেজিস্টারই ব্যবহার করা উচিত । নির্দিষ্ট ওয়াটের রেজিস্টার না পাওয়া গেলে কোন সময়েই কম ওয়াটের রেজিস্ট্যার ব্যবহার করা উচিত নয় । অবশ্য বেশি ওয়াটের রেজিস্টার ব্যবহ্যর করা যাবে । তবে সেক্ষেত্রেও কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে । বেশি ওয়াটের রেজিস্ট্যারের দাম তাে বেশিই , উপরন্তু বেশি ওয়াটের রেজিস্টার আকারেও বড় । তাই কোথাও নির্দিষ্ট ওয়াটের রেজিস্ট্যারের জন্য পরিমিত জায়গার ব্যবস্থা থাকলে সেখানে বেশি ওয়াটের রেজিস্টার ব্যবহারে অসুবিধার সষ্টি হবে ।

 

* রেজিস্ট্যারের কার্য প্রণালী ।

        রেজিস্টার হচ্ছে কমপ্যাক্ট সাইজের একটা ইলেকট্রিক্যাল পার্টস । সার্কিটের কোথাও নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট ( ভােল্টেজ ) সরবরাহ করার জন্য একে ব্যবহার করা হয় । যখন কোন রেজিস্ট্যারের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহিত হয় , তখন রেজিস্ট্যারটি কারেন্টের প্রবাহকে বাধা দেয় । এরফলে ভােল্টেজ ড্রপ হয় , অর্থাৎ ভােল্টেজ কমে যায় । এই ভােল্টেজ ড্রপের পরিমাণটা নির্ভর করে কি পরিমাণ কারেন্ট বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে তার উপর । আবার যে ভােল্টেজটা ড্রপ হচ্ছে । সেই ভােল্টেজটা রেজিস্ট্যারের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে ।

 

* রেজিস্ট্যারের শ্রেণীবিভাগ

       ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে যে সমস্ত রেজিস্ট্যার ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে বিভিন্ন রকম প্রয়ােজনের উপযােগী করে তৈরি করা হয় । যারজন্য সেগুলি বিভিন্ন আকৃতির ও বিভিন্ন প্রকারের হয় । সাধারণত রেজিস্ট্যারটা কি উপাদানে তৈরি এবং কোথায় ব্যবহার করা হবে তার উপরেই নির্ভর করে তার আকৃতি ও প্রকারভেদ ।

         সাকিটের কোথায় এবং কোন কাজে ব্যবহার করা হবে সেই অনুযায়ী রেজিস্টারের ভাল , 2রকমের হয় । যথা — ফিক্সড় ( Fixed ) বা লিনিয়ার ( linear ) এবং ভ্যারিয়েবল  ( Variable ) বা ট্যাপড় ( Tapped ) । পাওয়ার রেটিং অনুযায়ী এদের ওয়াটেজ সাধারণত 1/8 ওয়াট থেকে 200 ওয়াট পর্যন্ত হয় । যে সব যন্ত্রপাতি অল্প পাওয়ার সাপ্লাইতে কাজ করে সেখানে সাধারণত 1/8 বা  1/4 ওয়াটের রেজিস্টার ব্যবহৃত হয় । যেমন আমরা ট্রানজিস্টার রেডিও বা টেপ রেকডারের ক্ষেত্রে দেখি । আবার যেহেতু ভালভ রেডিও কিংবা টিভি অনেক বেশি ভােল্টেজে কাজ করে , তাই এতে ওয়াট থেকে 40 ওয়াট পর্যন্ত রেজিস্টার ব্যবহৃত হয় ।

 

* ফিক্সড বা লিনিয়ার রেজিস্টার

         তৈরি করার সময় যে রেজিস্টারের ভ্যালু নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় তাকেই বলা হয় ফিক্সড বা লিনিয়ার রেজিস্টার । রেজিস্ট্যার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয় , এবং ব্যবহৃত উপাদান অনুযায়ী রেজিস্ট্যারকে আরও কয়েকটা ভাগে ভাগ করা হয় । তাদের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটা হচ্ছে — ( a ) কাবন রেজিস্ট্যার , ( b ) ওয়্যার উড় । রেজিস্ট্যার , ( c ) মেটাল - ফিল্ম রেজিস্ট্যার , এবং ( d ) কার্বন - ফিল্ম রেজিস্ট্যার ।

     ( a ) কার্বন রেজিস্ট্যার —  কাবন রেজিস্টার তৈরি করার জন্য গ্রাফাইট ( কাবন ) পাউডার ব্যবহার করা হয় এবং একে একটা রডের আকার দেওয়া হয়। প্রথমে কাদা( clay ) জ তীয় কোন বেসের সঙ্গে গ্রাফাইট পাউডারকে মেশান হয় , তারপর সেই মিশ্রণটা সিরামিক টিউবের মধ্যে উত্তপ্ত করা হয় । কার্বন রডের দুই প্রান্তে দুটো টিন - কপার লিড যুক্ত করা । হয় । এই লিড দুটোকে সার্কিটে সােল্ডার করে ( ঝালা দিয়ে ) কানেকশন করার জন্য ব্যবহার করা হয় । এই ধরনের রেজিস্টারকে বলা হয় এ্যান্সিয়াল লিড রেজিস্টার ’ । এর ভ্যালুর পরিমাণটা নির্ভর করে রডের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ এবং উপাদনের মিশ্রণের ( mixture ) উপর । এদের ভ্যালটা সাধারণত 1 ওহম থেকে 20M ওহম , পর্যন্ত হয় এবং ওয়াটেজ হয় সাধারণত ৫ ওয়াট থেকে 2 ওয়াট পর্যন্ত । এখানে একটা চিত্রের মাধ্যমে ( চিত্র - - 46 ) কয়েক প্রকার কারনে । রেজিস্টারের প্রতিকৃতি দেখান হল ।

    ( b) গুমরে উণ্ড রেজিষ্টার —  এই প্রকার রেজিস্টার তৈরি করার জন্য একটা বিশেষ ধরনের সংকর ধাতর । তার ( alloy wire ) ব্যবহার করা হয় । সাধারণত এই তরি হচ্ছে নাইক্রোম ওয়্যার । এই তার হচ্ছে উচ্চ রােধসম্পন্ন এবং একে একটা ইনসলেটিং ফমার উপর ( পােসেলিনের ) জড়ান হয় । তারের দুটো প্রান্তকে দুটো টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত করা হয় ,

  • YouTube - White Circle
  • White Facebook Icon
  • White Twitter Icon
  • White Instagram Icon
RESISTOR.gif

এবং এই টার্মিনাল দুটোকে সাকিটে কানেকশান করার জন্য সােল্ডার করার কাজে ব্যবহার করা হয় । ফমার উপর জড়ানাে তারকে তাপ প্রতিরােধক সিমেন্ট বা সিরামিকের সাহায্যে ঢেকে দেওয়া হয় । এই রেজিস্ট্যারের ভ্যাল , সাধারণত 1 ওহম - এর সামান্য একটা ভগ্নাংশ থেকে 100K ওহম পর্যন্ত হয় । আর এর ওয়াটেজ হচ্ছে 5 ওয়াট থেকে 200 ওয়াট পর্যন্ত । গঠন প্রণালী অনুযায়ী ওয়্যার উন্ড রেজিস্ট্যারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথা — ( i ) ফিক্সড ওয়্যার উণ্ড রেজিস্ট্যার , ( ii ) এ্যাডজাস্টেবল ওয়্যার উণ্ড রেজিস্ট্যার , চিত্র — 9 - 1 এবং ( iii ) ট্যাপড় , ওয়্যার উণ্ড রেজিস্ট্যার । ফিক্সড় ওয়্যার উণ্ড রেজিস্ট্যারের মাত্র দুটো কানেকশান পয়েন্ট ( চিত্র – 9 - 2 - A ) । এটি তৈরি করার সময় এর ভ্যাল , নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় । এ্যাডজাস্টেবল , ওয়্যার উণ্ড রেজিস্ট্যারের কানেকশানের জন্য ধারের দুটো টার্মিনাল পয়েন্ট । ছাড়াও মাঝখানে আরও দুটো অতিরিক্ত পয়েন্ট থাকে ( চিত্র – 9 - 2 - B ) । এই মাঝখানের পয়েন্ট দুটো মুভেবল , অর্থাৎ এদের সরান যায় । সুতরাং প্রয়ােজন অনুযায়ী রেজিস্ট্যারের ভ্যালকে কম বেশি করা যায় । তাই প্রয়ােজনীয় ভ্যালতে মাঝখানের পয়েন্ট দুটোকে এ্যাডজাস্ট করে ফিক্সড় করে দিতে হয় । এই ধরনের রেজিস্ট্যারকে ‘ সেমি ভ্যারিয়েবল রেজিস্ট্যার ’ ও বলা হয় । ট্যাপড় ওয়্যার - উণ্ড রেজিস্টারের ক্ষেত্রে ধারের টার্মিন্যাল পয়েন্ট দুটো | চিত্র – 9 - 2 ছাড়াও মাঝখানে বিভিন্ন ভ্যালর একাধিক ট্যাপিং থাকে ( চিত্র - 59 - 2 - C ) ।  এর টামিন্যাল পয়েন্ট দটোর মত ট্যাপিংগুলিও ফিক্সড়   ।    প্রয়ােজনীয় ভ্যাল অনুযায়ী এর বিভিন্ন ট্যাপিং

ব্যবহার করা হয় । | ( c ) মেটাল ফিল্ম রেজিস্ট্যার — এই রেজিস্টার তৈরি করার জন্য একটা ইনসুলেটিং ফর্মার উপর মেটাল ফিল্মের একটা পাতলা আস্তরণ জমান হয় । টার্মিনাল ওয়্যার দুটোকে দধােরে যুক্ত করা হয় দুটো মেটাল টুপির উপর জোরে চাপ দিয়ে । এরপর মেটাল ফিল্মের উপর একটা হেলিক্যাল ( helical ) খাঁজ কাটা হয় এবং সবশেষে সমস্ত রেজিস্ট্যারকে একটা নিউট্রাল পেস্টে ডুবিয়ে তুলে নেওয়া হয় । এখানে একটা চিত্রের মাধ্যমে কয়েকটা মেটাল - ফিল্ম রেজিস্ট্যারের প্রতিকৃতি দেখান চিত্র - - 3 হল ( চিত্র – 9 - 3 ) ।  ( d ) কার্বন - ফিল্ম রেজিস্ট্যার — কার্বন - ফিল্ম রেজিস্ট্যারের গঠন প্রণালী মেটাল - ফিল্ম রেজিস্ট্যারের মত একই রকম । এখানে ইনসলেটিং ফর্মার উপর ( সিরামিক টিউব ) মেটাল - ফিল্মের বদলে কেবল কার্বন - ফিল্মের পাতলা আস্তরণ । ব্যবহার করা হয় । 

* ভ্যারিয়েবল রেজিস্টার

             ভ্যারিয়েবল রেজিস্ট্যারকে সাধারণত ‘ পােটেনশিওমিটার ’ বা ‘ পট ’ অথবা কন্ট্রোল ’ নামে অভিহিত করা হয় । একে সাকিটের এমন জায়গায় ব্যবহার করা হয় , যেখানে প্রয়ােজনে রেজিস্ট্যান্সের ( রােধের ) ভ্যাল , পরিবর্তন করার দরকার । হয় । যেমন — রেডিও , টেপ রেকর্ডার বা টিভিতে ভলিউম কন্ট্রোলের ব্যবহার । ভ্যারিয়েবল রেজিস্টার তৈরি করার জন্য একটা প্লাষ্টিক বেসের উপর কার্বন - ফিল্মের ( ( একটা স্তর ( layer ) জমান হয় এবং এই স্তরটাই রােধের কাজ করে । এই স্তরের দুটো প্রান্তে দুটো লেগ যুক্ত করা হয় । একটা

উইপিং ( wiping ) কন্টাক্ট পয়েন্ট ( যেটা চিত্র — 9 - 4 মাঝখানের লেগের সঙ্গে যুক্ত ) , স্তরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত যাতায়াত করে এবং এই যাতায়াতের ফলেই সাকিটে রােধ কম বেশি হয় । মাঝখানের এই পয়েন্টকে স্লাইডারও বলা হয় । পােটেনশিওমিটারে অনবরত তার সর্বোচ্চ ভ্যাল পর্যন্ত যে কোন ভ্যালর টানা রােধ পাওয়া যায় । এখানে একটা চিত্রের মাধ্যমে একটা ভ্যারিয়েবল রেজিস্টারের প্রতিকৃতি দেখানাে হয়েছে ১ায়ন ( চিত্র — 9 - 4 ) । চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে , A ও C পয়েন্ট দুটো হচ্ছে দুটো স্টা প্রান্তিক লেগ এবং B পয়েন্টটা হচ্ছে বেজমস উইপিং কন্টাক্ট পয়েন্ট । E শ্যাফটার টার্মিনী | এসে , সঙ্গে B পয়েন্ট যুক্ত এবং E শ্যাফট - ~ - রেট ; ঘােরালে B এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত যাতায়াত করে । এখানে চিত্র — 9 - 5 আর একটা চিত্রের মাধ্যমে পােটেন শিওমিটারের ভিতরের গঠন প্রণালী দেখানাে হয়েছে ( চিত্র – 9 - 5 ) । গঠন প্রণালীর ছবিটা দেখলে পােটেনশিওমিটার । কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে সুবিধা হবে । ভ্যারিয়েবল , রেজিস্টারের রােধের ভ্যালুর মানের পরিবর্তনের হার ( rate ) অনুযায়ী এই রেজিস্ট্যারকে দ ’ ভাগে ভাগ করা হয় । যথা — লগ , টাইপ এবং লিন টাইপ । ভ্যারিয়েব । স্লাইসার যে , A ও C পয়েন্ট দল ভ্যারিয়েব এ লগ টাইপ ( লগারিদম / log ) — এই রােধের মানের পরিবর্তন হয় লগারিদম , হারে । এই ধরনের রেজিস্ট্যারের রােধের মান এক মাথা থেকে আর এক মাথা পর্যন্ত আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে । চিত্র দেখলে বিষয়টা বুঝতে সবিধা ।এই ধরনের ভ্যারিয়েবল রেজিস্টার সাধারণত ভলিউম কন্ট্রোল

new-electronics-slides-15-638.jpg

ও বাস , ( Bass } কন্ট্রোল হিসাবে ব্যবহৃত হয় । ৪০টি 20 0 30 3 2 50 ft 80 [ ads00 . Lege . B0 La৩ টি - 3 : 00 = | LOG Log . LEAR চিত্র – 9 - 6 চিত্র — 9 - 7

 

* লিন টাইপ ( লিনিয়ার / lin ) -  এর রােধের মানের পরিবর্তন হয় সমানপাতিক ( directly proportional ) হারে । এই ধরনের রেজিস্টারের প্রত্যেক ভাগের মান সমান । চিত্র দেখলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে ( চিত্র - 9 । এই ধরনের ভ্যারিয়েবল রেজিস্টার সাধারণত টেলিভিশন সেটের কন্ট্রাস্ট কন্ট্রোল ,ব্রাইটনেস কন্ট্রোল ,ভার্টিক্যাল হােন্ড , হরাইজটাল হােল্ড

1-6a.gif

ইত্যাদিতে এবং স্টিরিও টেপ - রেকডারে টোন কন্ট্রোল হিসাবে ব্যবহৃত হয় । আর এক প্রকারের ভ্যারিয়েবল রেজিস্ট্যার আছে । তা হচ্ছে ওয়্যারউণ্ড টাইপ । তাতে কার্বন ফিল্ম স্তরের বদলে ওয়্যারউণ্ড স্তর ব্যবহার করা হয় । এই কার্বন - ফিল্ম স্তর বা ওয়্যারউণ্ড স্তরের উপরেই নির্ভর করে পােটেনশিওমিটারের পাওয়ার । ওয়্যারউণ্ড টাইপের পােটেনশিওমিটারকে সাধারণত পাওয়ার সাপ্লাইতে ব্যবহার করা হয় । আবার 3 ওয়ার্ডের চেয়ে বেশি ওয়াটের পােটেনশিওমিটারগুলি ওয়্যারউণ্ড টাইপের হয় । তবে সাধারণত কার্বন - ফিল্ম পােটেনশিওমিটারই বেশি ব্যবহৃত হয় । a 08 | চিত্র – 9 - 8 চিত্র – 9 - 9 গঠন বৈচিত্র্য অনুযায়ী কার্বন ফিল্ম পােটেনশিওমিটারকে তিনভাগে ভাগ করা হয় । যথা - ( i ) রােটারী ৯৯৯ পােটেনশিওমিটার ( চিত্র – 9 - 4 / পঃ 73 ) ; ( ii ) স্লাইডিং টাইপ পােটেনশিওমিটার ( চিত্র – 9 - 8 ) এবং ( iii পিস | টাইপ পােটেনশিওমিটার ( চিত্র — 9 - 9 ) । লাইডিং টাইপ পােটেনশিওমিটারের শ্যাফটকে রােটারী টাইপ

পোটেনশিওমিটারের মত না ঘরিয়ে ডাইন সারিয়ে এদের রােধের ভ্যাল , কম বেশি করা হয় । প্রি - সেট ব্যবহার করা হয় প্রয়ােজনীয় ভ্যালতে রােধের মান এ্যাডজাস্ট করে নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য । এদের কোন শ্যাফট নেই । এদেরকে এ্যাডজাস্ট করতে হয় । - ড্রাইভারের সাহায্যে । এখানে একটা চিত্রের মাধ্যমে ফিক্সড রেজিস্ট্যার ( চিত্র - ~ - 9 - 10 - A ) , ভ্যারিয়েবল রেজিস্টার বা পােটেনশিওমিটার ( চিত্র - 9 - 10 - B ) এবং ট্যাপড় রেজিস্ট্যারের ( চিত্র - - 9 - 10 - C ) প্রতীক চিহ্ন দেখানাে হয়েছে । এদের উপস্থিতি  বােঝানাের জন্য সার্কিট ডায়াগ্রামে সাধারণত এই চিহ্নগুলি ব্যবহার করা হয় । আর একটা চিত্রের মাধ্যমে ওহম - এর । প্রতীক চিহ্ন দেখানাে হয়েছে ( চিত্র — 9 - 11 ) ।

 

* কালার কোড থেকে কিভাবে রেজিস্ট্যারের ভ্যালু নির্ণয় করতে হয় । 

              ওয়্যারউড রেজিস্ট্যারের আকার বড় হওয়ার জন্য সাধারণত তার গায়ে তার ভাল ,অথাৎ মান লেখা থাকে । কিন্তু কার্বন রেজিস্টার অথবা মেটাল ফিল্ম রেজিস্টার বা কার্বন -

ফিল্ম রেজিস্টার আকারে ছােট হওয়ার জন্য তাদের গায়ে তাদের ভ্যাল , লিখে দেওয়া সম্ভব হয় না । তাই তাদের , ভ্যাল , জানার জন্য রং - এর সাহায্য নিতে হয় । রং অর্থাৎ কালারের সাহায্যে ভ্যাল , নির্ণয় করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় কালার কোড় ’ পদ্ধতি । এই কালার কোডটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কালার কোড । কালার কোডে 9 - টা পথক রং ব্যবহার করা হয় এবং এই 9 - টা রং - এর প্রত্যেকটার জন্য আলাদা আলাদা সংখ্যা নির্দিষ্ট করা আছে । রেজিস্ট্যারের গায়ে প্রথমে সাধারণত বাদামী বা অন্য কোন একটা হাল্কা রঙের প্রলেপ দেওয়া থাকে । এই প্রলেপের । উপর রেজিস্ট্যারের যেকোন একধারে সামান্য একটু দুরে দুরে পরপর তিনটি রং - এর রিং বা ব্যাড দেওয়া থাকে । এই তিনটি রং - এর ( যথাক্রমে A , B , C ) সাহায্যে রেজিস্ট্যারের ভ্যাল ( মান ) নির্ণয় করা হয় । এই তিনটি রিং থেকে একট । বেশি তফাতে অথবা রেজিস্ট্যারের অন্যধারে সােনালী ( Golden ) বারপালি ( Silver ) রং - এর আর একটা রিং বা । ব্যাড দেওয়া থাকে । এটা হচ্ছে রেজিস্ট্যারের চতুর্থ রং { D ) , এবং এর সাহায্যে সাধারণত রেজিস্ট্যারের টলারেন্স নির্ণয় করা হয় । অনেক সময় রেজিস্ট্যারের গায়ে এই চতুথ রং - এর কোন রিং দেওয়া থাকে না । অর্থাৎ রেজিস্ট্যাবের গায়ের প্রলেপের রংকেই চতুর্থ রং হিসাবে ব্যবহার করা হয় । তখন সেক্ষেত্রে চতুর্থ রং - এর জন্য বলা হয় কোন রং নেই ' বা নাে কালার ’ ( No colour ) ।

Untitled.jpg
ohm-symbol.gif

আমরা জানলাম যে , রিং - এর সাহায্যে রেজিস্ট্যারের ভ্যাল , নির্ণয় করা হয় । কিন্তু কালার কোত পড়ার ভাষা না জানলে তাে রেজিস্ট্যারের রঙগুলি আমাদের কাছে রঙই থেকে যাবে , কোন মানে হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে না । তাই এবারে আমরা শিখব কিভাবে রেজিস্টারের ভ্যাল , নির্ণয় করতে হয় , এবং এরজন্য আমরা একটা ২ই ও ৩য় ৪র্থঠত ১১ তাও চিত্র – 9 - 12 । চিত্রের সাহায্য নেব ( চিত্র — 9 . 12 ) । সাধারণত এই পদ্ধতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রেজিস্ট্যারের ভ্যাল , নির্ণয় করা হয় । এই পদ্ধতিতে সবসময় চতুর্থ রং অথাৎ টলারেন্সের রং - এর বিপরীত দিক থেকে ব্যান্ড এর গণনা আরম্ভ করতে হয় । সুতরাং চতুর্থ রং -এর বিপরীত দিকে একেবারে ধারের প্রথম রং - টা হচ্ছে প্রথম ব্যান্ড বা রিং ( A ) । প্রথম রং - এর পরের রংটা হচ্ছে দ্বিতীয় ব্যান্ড বা রিং 

(B ) আর দ্বিতীয় রং - এর পরের রং - টা হচ্ছে তৃতীয় ব্যান্ড বা রিং C । | এবারে প্রথম ( A ) ও দ্বিতীয় ( B ) ব্যান্ডের সংখ্যা দুটো যথাক্রমে পাশাপাশি বসিয়ে , সেই সংখ্যা দুটোকে তৃতীয় ব্যান্ডের । ( C ) জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে যে ফল পাওয়া যাবে সেইটাই হচ্ছে রেজিস্ট্যারের ভ্যাল , বা মান । চতুর্থ ব্যান্ডের ( D ) রং - এর জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যা থেকে জানা যায় রেজিস্ট্যারের টলারেন্স । টলারেন্সের হিসাব করা হয় । শতকরা ( % ) হিসাবে । কিন্তু টলারেন্স বলতে কি বােঝায় ? রেজিস্ট্যার প্রস্তুতকারক সংস্থা যখন এই জাতীয় রেজিস্টার তৈরি করে , তখন তারা রেজিস্ট্যারের সঠিক ভ্যাল , বজায় রাখতে পারে না । তৈরি হওয়া রেজিস্টারের ভ্যাল , নির্দিষ্ট ভ্যালর চেয়ে সব সময় কিছু কম বা কিছু বেশি । হয়ই । ভ্যালর এই কম বেশি হওয়াটাই হচ্ছে টলারেন্স। কোন রেজিস্টারে কতটা টলারেন্স আছে ,পলোক সঙ্গত কারক সংস্থা তা জানিয়ে দেয় রেজিস্ট্যারের গায়ে চতুর্থ ব্যাণ্ডটা ( D )ব্যবহার করে ।  D-ব্যান্ডের জন্য সাধারণত সসানালী ও  রূপালী রং ব্যবহার করা হয় অথবা কোন রং - ই ব্যবহার করা হয় না অর্থাৎ রেজিস্ট্যারের গায়ের রংটাই   রং হিসাবে ব্যবহার করা হয় । অবশ্য

প্রয়োজনে অন্য রংও ব্যবহার করা হয় । সােনালী রং - এর মান + 59 কপাল মান + 10 % এবং কোন রং না থাকলে তার মান ° 20 % । ধরা যাক প্রথম তিনটি রং - থেকে কোন রেজিসানের মতন পাওয়া গেল 1002 । এই রেজিস্ট্যারের চতুর্থ রং যদি সােনালী হয় , তাহলে রেজিস্ট্যারের সঠিক মান হবে ০sorom | 10542 - এর মধ্যে যে কোন মানের । চতুর্থ রং রপালী হলে রেজিস্টারের সঠিক মান হবে 900 থেকে 11oo . যে কোন মানের । আর যদি চতুথ রং - এর জায়গায় কোন রং না থাকে , তাহলে রেজিস্ট্যারের সঠিক মান হবে ৪০o me _ 1202 - এর মধ্যে যে কোন মানের । রেজিস্টারের ভ্যালর এই হেরফের হওয়াটা স্বীকৃত ব্যাপার ( permissible ) । তাই কোন সার্কিট ডিজাইন করার সময় রেজিস্টারের এই টলারেন্সের কথাটা মাথায় রেখেই সাকিট ডিজাইন করা হয় । তবে যতটা সম্ভব কম টলারেন্সের রেজিস্ট্যার ব্যবহার করা যায় ততই ভাল । কিন্তু কোন সময় যদি দেখা যায় কেন রেজিস্টারের ভ্যাল , টলারেন্সের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে , তাহলে সেক্ষেত্রে সেই রেজিস্ট্যারকে ব্যবহার করা উচিত নয় । 

• রেজিস্ট্যায়ের কালার কোড চার্ট অর্থাৎ রেজিস্ট্যারের বিভিন্ন রং ও তাদের সংখ্যার পরিচয়

              প্রথম ব্যান্ড বা রিং | দ্বিতীয় ব্যাড বা রিং | তৃতীয় ব্যাণ্ড বা রিং তুর্থ ব্যান্ড বা রিং প্রথম সংখ্যা | অথংি দ্বিতীয় সংখ্যা | অর্থাৎ গণক রাশি | | অর্থাৎ টলারেন্স । ( Colour ) = ০ | = ০ 10 . °20 % 81 % °2 % °3 % ০ M ০ M – – 100 1000 বা , 1K 1000 , 0 বা , 10K 1000 , 00 বা 100K 1000 , 000 বা , 1M 25 % ০ ০ ০ * 6 % কালাে ( Black ) বাদামী ( Brown ) লাল ( Red ) । কমলা ( Orange ) হলদে ( Yellow ) সবুজ ( Green ) নীল ( Blue ) । বেগুনী ( Violet ) ধুসর ( Grey ) সাদা ( White ) সােনালী ( Golden ) । রপালী ( Silver )  কোন রং নেই ।     ( No colour ) ০ ২ | ০১ | ০ °12 : 5 % °30 % °10 % °

ResistorColourCode_thumb.jpg

5 % °10 % °20 % 01 বা , 1 0 : 01 বা ঠত কালার কোড দেখে রেজিস্ট্যারের মান কিভাবে নির্ণয় করা হয় , কয়েকটা উদাহরণের সাহায্যে তা নীচে দেখান । প্রথম ব্যাণ্ড ( A ) | দ্বিতীয় ব্যাণ্ড ( B ) তৃতীয় ব্যাণ্ড ( C ) রেজিস্ট্যারের মান বাদামী = 1 কালাে = 0 . সােনালী = 01 le | বাদামী = 1 কালাে = 0 কালাে = 1 109 কমলা = 3 কমলা = 3 বাদামী = 10 . 3300 লাল = 2 লাল = 2 লাল = 100 . 2 , 2002 = 2 : 2K সবুজ = 5 নীল = 6 . কমলা = 1000 56 , 0002 = 56K হলুদ = 4 বেগুনী = 7 হলুদ = 10 , 000 470 , 0002 = 470K বাদামী = 1 কালাে = 0 সবুজ = 100 , 000 1000 , 0002 = 1M . বাদামী = 1 কালাে = 0 নীল = 1000 , 000 10 , 000 , 0000 = 10M চার রং - যুক্ত রেজিস্টারের মান তৃতীয় রং - এর সাহায্যে অতি দ্রুত নির্ণয় করার একটা সহজ পদ্ধতি নীচে দেওয়া হল । ( i ) 0 : 19 থেকে 0 * 999 পর্যন্ত মান যুক্ত সমস্ত রেজিস্টারের তৃতীয় রং সব সময় হবে রপালী । ( ii ) 10 থেকে 90 পর্যন্ত মান যুক্ত সমস্ত রেজিস্ট্যারের তৃতীয় রং সব সময় হবে সােনালী ।

bottom of page